সিলেট বিভাগের ৫৪ শতাংশ কৃষকই প্রান্তিক ও ভূমিহীন

September 22, 2023 0 Comments
সিলেট বিভাগের সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার-এ চার জেলায় ১৮ শতাংশ কৃষকই ভূমিহীন। এছাড়া এ চার জেলার ৩৬ শতাংশই প্রান্তিক কৃষক। এসব জেলায় মোট জমির মাত্র ৬১ শতাংশ চাষযোগ্য। এ অঞ্চলে মোট পতিত জমি প্রায় দুই লাখ হেক্টর। আবার চাষযোগ্য জমির ৪৯ শতাংশে এক ফসলি আবাদ হয়। গতকাল সকালে সিলেট সার্কিট হাউজে সিলেট অঞ্চলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপির মতবিনিময়কালে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়। সিলেট অঞ্চল ও বিভাগের কৃষির সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) উপপরিচালক কাজী মজিবুর রহমান। ডিএই এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জমি পতিত থাকার অন্যতম কারণ হলো অনুপস্থিত কৃষক বা মালিক। প্রবাসী কৃষকরা আবাদে আগ্রহী হচ্ছেন না। এছাড়া বোরো মৌসুমে সেচের অপর্যাপ্ততা, পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আয়রনের উপস্থিতি, আগাম ও আকস্মিক বন্যা, পাহাড়ি ঢল-অতিবৃষ্টি, টেকসই ফসল রক্ষাবাঁধের অভাব, আগাম-স্বল্পমেয়াদি জাতের অভাবে আবাদ কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। মূল প্রবন্ধে কাজী মজিবুর রহমান বলেন, সিলেট অঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলায় মোট জমির পরিমাণ ১২ লাখ ৫০ হাজার ৫৩২ হেক্টর। চাষযোগ্য বা ফসলি জমি রয়েছে ৭ লাখ ৬৩ হাজার ২৫৪ হেক্টর। ফলে চাষযোগ্য জমির পরিমাণ মাত্র ৬১ শতাংশ। যেসব জমি চাষ করা সম্ভব, সেখানে মাত্র একটি ফসলই বেশি আবাদ করা হয়। চাষযোগ্য জমির এক ফসলি জমিই প্রায় ৪৯ শতাংশ। ফসলের নিবিড়তা ১৬০ শতাংশ, যা দেশের অন্য বিভাগের তুলনায় সবচেয়ে কম। সিলেট অঞ্চলে ১৮ শতাংশ কৃষক ভূমিহীন ও ৩৬ শতাংশ প্রান্তিক কৃষক। অন্যদিকে পতিত জমি ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৯৯ হেক্টর। এ বিশাল পতিত জমিতে ফসল উৎপাদনই এখন চ্যালেঞ্জ। গতকালের অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, সিলেট অঞ্চলের ডিএইর অতিরিক্ত পরিচালক দিলীপ কুমার অধিকারী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Leave A Comment

To Top