সাহানোয়ার সাইদ শাহীন :
মানুষের রুচি ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনের কারণে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের চাহিদা বাড়ছে। চাহিদার দিকে খেয়াল রেখেই কম্পানিগুলো ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। বাড়তি চাহিদার কারণেই গত বছর দেশের প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের বাজার ছাড়িয়েছে আট বিলিয়ন ডলার বা এক লাখ কোটি টাকা। এটা প্রতিবছর গড়ে ২৭ শতাংশ হারে বাড়ছে।দেশের প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের বাজার নিয়ে এসব তথ্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)। সংস্থাটির বৈদেশিক কৃষিসেবা বিভাগ (এফএএস) এবং গ্লোবাল অ্যাগ্রিকালচারাল ইনফরমেশন নেটওয়ার্কের (গেইন) যৌথভাবে এক্সপোর্টার গাইড অ্যানুয়াল শীর্ষক প্রতিবেদনটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে এখন প্রায় এক হাজার মূল্য সংযোজন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কম্পানি রয়েছে। তবে প্রায় দুই দশক আগে ২০০৪-০৫ অর্থবছরে খাদ্য প্রক্রিয়াজাত পণ্যের বাজার ছিল ১২৫ কোটি ডলারের।
বর্তমান বিনিময় হার বিবেচনায় নিলে টাকার অঙ্কে তা দাঁড়ায় ১৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। বর্তমানে তা এক লাখ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। দুই দশকের ব্যবধানে বাজার প্রায় ৫৪০ শতাংশ বেড়েছে। তবে বাজার বৃদ্ধি পেলেও এই শিল্প এখনো বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি।
এ ছাড়া মান নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। এই খাতের উন্নয়নে জাতীয় ও বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করেছেন এসিআই অ্যাগ্রিবিজনেসের প্রেসিডেন্ট ড. ফা হ আনসারী। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমানে ভিয়েতনাম ও ভারত কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
তবে সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারছি না। এই শিল্পের বিকাশে সুস্পষ্ট নীতিমালা ও উন্নতমানের ল্যাবরেটরির ঘাটতি রয়েছে।
এ ছাড়া নতুন নতুন ব্র্যান্ডিং পরিকল্পনা ও সময়োপযোগী প্রযুক্তির ব্যবহার এই শিল্পের বিকাশে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গুণগত মান বজায় রাখতে আধুনিক প্রযুক্তির বিকল্প নেই। এ ছাড়া বিদেশি উন্নত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রপ্তানি করা যেতে পারে। পাশাপাশি এই শিল্পটি এখনো বহির্বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা সক্ষম হয়ে উঠতে পারেনি। ফলে এই খাতে প্রণোদনা চলমান রাখতে হবে।
খাত বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের বাজার বড় হলেও সেভাবে মানের দিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। দেশ-বিদেশে খাদ্যপণ্যে মানহীনতার নানা বিষয় উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যাবরেটরি না থাকার কারণে রপ্তানির পর বিদেশে পণ্যে নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। মান উন্নত করা গেলে আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ ও দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সুপারমার্কেটে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ব্যবসা ও বিপণন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, দেশের বেশির ভাগ শিল্পপ্রতিষ্ঠানে উন্নত প্রযুক্তির অভাব কিংবা দক্ষতার অভাবে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে পারছে না। এই খাতে বিশ্বমানের প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা সুরক্ষা বলয় আনতে হবে। আবার প্রতিযোগী দেশের তুলনায় বাংলাদেশের উপকরণ ব্যয় বেশি। প্রয়োজনীয় টেস্ট করার জন্য পরীক্ষাগারের অভাব, বিভিন্ন কৃষিপণ্যের ভালো জাতের অভাব, ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট প্রাপ্তিতে জটিলতা, দুর্বল প্যাকেজিং বাধা হিসেবে কাজ করছে। তাই কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে হলে উত্তম কৃষি চর্চা (জিএপি) ও উত্তম উৎপাদন চর্চা (জিএমপি) বাস্তবায়নে জোর দিতে হবে। পণ্যের মান ঠিক রাখতে দেশে পণ্যের শনাক্তকরণ পদ্ধতি উন্নত করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মধ্যপ্রাচ্য ও উপসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশের খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি বেড়েছে। এ ছাড়া আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। এসব দেশ ও অঞ্চলে বসবাসকারী বাংলাদেশি ও অন্যান্য দক্ষিণ এশীয় প্রবাসীরা বাংলাদেশি পণ্যের মূল ভোক্তা। তবে এসব দেশের সুপারমার্কেটে ভালোভাবে প্রবেশ করতে পারেনি বাংলাদেশের পণ্য। সেখানে মানের বিষয়টি জড়িত। আবার যে বাজারে প্রবেশ করছে, সেখানে ২০২৬ সালের পর প্রবেশ করা বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। কেননা ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশ হবে বাংলাদেশ। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর রপ্তানিতে নগদ সহায়তা বন্ধ হবে। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর এই প্রণোদনা প্রত্যাহার করা হলে প্রক্রিয়াকরণশিল্প বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
এ বিষয়ে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘দেশের প্রক্রিয়াজাত পণ্যের রপ্তানি বাজার টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারের প্রণোদনার হার বাড়াতে হবে। কেননা আমরা পার্শ্ববর্তী ও আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় উৎপাদন খরচে পিছিয়ে রয়েছি। কনটেইনার ও ফ্রেইট খরচ এখন দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক বন্দর সুুবিধার অভাবে পণ্যগুলো নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে আমাদের দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ দামে উপকরণ কিনতে হয়। রপ্তানি প্রণোদনার বিকল্প হিসেবে এই খাতে সরকারের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ পরিকল্পনা দরকার। উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে বন্দর সুবিধা বাড়ানো, উপকরণ খরচ কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে। এ ছাড়া এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী বিকল্প সুবিধা বাস্তবায়নে নজর দিতে হবে।েসেস
মানুষের রুচি ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনের কারণে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের চাহিদা বাড়ছে। চাহিদার দিকে খেয়াল রেখেই কম্পানিগুলো ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে।
বাড়তি চাহিদার কারণেই গত বছর দেশের প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের বাজার ছাড়িয়েছে আট বিলিয়ন ডলার বা এক লাখ কোটি টাকা। এটা প্রতিবছর গড়ে ২৭ শতাংশ হারে বাড়ছে।
দেশের প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের বাজার নিয়ে এসব তথ্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)। সংস্থাটির বৈদেশিক কৃষিসেবা বিভাগ (এফএএস) এবং গ্লোবাল অ্যাগ্রিকালচারাল ইনফরমেশন নেটওয়ার্কের (গেইন) যৌথভাবে এক্সপোর্টার গাইড অ্যানুয়াল শীর্ষক প্রতিবেদনটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে এখন প্রায় এক হাজার মূল্য সংযোজন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কম্পানি রয়েছে। তবে প্রায় দুই দশক আগে ২০০৪-০৫ অর্থবছরে খাদ্য প্রক্রিয়াজাত পণ্যের বাজার ছিল ১২৫ কোটি ডলারের।
বর্তমান বিনিময় হার বিবেচনায় নিলে টাকার অঙ্কে তা দাঁড়ায় ১৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। বর্তমানে তা এক লাখ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। দুই দশকের ব্যবধানে বাজার প্রায় ৫৪০ শতাংশ বেড়েছে। তবে বাজার বৃদ্ধি পেলেও এই শিল্প এখনো বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি।
এ ছাড়া মান নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন।
এই খাতের উন্নয়নে জাতীয় ও বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করেছেন এসিআই অ্যাগ্রিবিজনেসের প্রেসিডেন্ট ড. ফা হ আনসারী। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমানে ভিয়েতনাম ও ভারত কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তবে সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারছি না। এই শিল্পের বিকাশে সুস্পষ্ট নীতিমালা ও উন্নতমানের ল্যাবরেটরির ঘাটতি রয়েছে।
এ ছাড়া নতুন নতুন ব্র্যান্ডিং পরিকল্পনা ও সময়োপযোগী প্রযুক্তির ব্যবহার এই শিল্পের বিকাশে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গুণগত মান বজায় রাখতে আধুনিক প্রযুক্তির বিকল্প নেই। এ ছাড়া বিদেশি উন্নত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রপ্তানি করা যেতে পারে। পাশাপাশি এই শিল্পটি এখনো বহির্বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা সক্ষম হয়ে উঠতে পারেনি। ফলে এই খাতে প্রণোদনা চলমান রাখতে হবে।
খাত বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের বাজার বড় হলেও সেভাবে মানের দিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। দেশ-বিদেশে খাদ্যপণ্যে মানহীনতার নানা বিষয় উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যাবরেটরি না থাকার কারণে রপ্তানির পর বিদেশে পণ্যে নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। মান উন্নত করা গেলে আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ ও দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সুপারমার্কেটে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ব্যবসা ও বিপণন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, দেশের বেশির ভাগ শিল্পপ্রতিষ্ঠানে উন্নত প্রযুক্তির অভাব কিংবা দক্ষতার অভাবে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে পারছে না। এই খাতে বিশ্বমানের প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা সুরক্ষা বলয় আনতে হবে। আবার প্রতিযোগী দেশের তুলনায় বাংলাদেশের উপকরণ ব্যয় বেশি। প্রয়োজনীয় টেস্ট করার জন্য পরীক্ষাগারের অভাব, বিভিন্ন কৃষিপণ্যের ভালো জাতের অভাব, ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট প্রাপ্তিতে জটিলতা, দুর্বল প্যাকেজিং বাধা হিসেবে কাজ করছে। তাই কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে হলে উত্তম কৃষি চর্চা (জিএপি) ও উত্তম উৎপাদন চর্চা (জিএমপি) বাস্তবায়নে জোর দিতে হবে। পণ্যের মান ঠিক রাখতে দেশে পণ্যের শনাক্তকরণ পদ্ধতি উন্নত করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মধ্যপ্রাচ্য ও উপসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশের খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি বেড়েছে। এ ছাড়া আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। এসব দেশ ও অঞ্চলে বসবাসকারী বাংলাদেশি ও অন্যান্য দক্ষিণ এশীয় প্রবাসীরা বাংলাদেশি পণ্যের মূল ভোক্তা। তবে এসব দেশের সুপারমার্কেটে ভালোভাবে প্রবেশ করতে পারেনি বাংলাদেশের পণ্য। সেখানে মানের বিষয়টি জড়িত। আবার যে বাজারে প্রবেশ করছে, সেখানে ২০২৬ সালের পর প্রবেশ করা বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। কেননা ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশ হবে বাংলাদেশ। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর রপ্তানিতে নগদ সহায়তা বন্ধ হবে। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর এই প্রণোদনা প্রত্যাহার করা হলে প্রক্রিয়াকরণশিল্প বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
এ বিষয়ে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘দেশের প্রক্রিয়াজাত পণ্যের রপ্তানি বাজার টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারের প্রণোদনার হার বাড়াতে হবে। কেননা আমরা পার্শ্ববর্তী ও আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় উৎপাদন খরচে পিছিয়ে রয়েছি। কনটেইনার ও ফ্রেইট খরচ এখন দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক বন্দর সুুবিধার অভাবে পণ্যগুলো নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে আমাদের দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ দামে উপকরণ কিনতে হয়। রপ্তানি প্রণোদনার বিকল্প হিসেবে এই খাতে সরকারের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ পরিকল্পনা দরকার। উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে বন্দর সুবিধা বাড়ানো, উপকরণ খরচ কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে। এ ছাড়া এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী বিকল্প সুবিধা বাস্তবায়নে নজর দিতে হবে।